শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ৭নং ভারুয়াখালীতে মামলা তুলে নিতে বাদীনির পুত্রকে অপহরন পুর্বক ইয়াবা দিয়ে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে আসামী পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বাদীনিসহ তার আত্বীয় স্বজনরা।এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। ১৪ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬ টায় ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের ঘোনা পাড়া বাজারস্থ আনু মিয়া বাজারের উত্তর পাশে।

অভিযোগে জানা যায়, গত ৮ আগষ্ট বড় চৌধুরী পাড়া এলাকার সিরাজুল হকের স্ত্রী মনিরা খাতুন, দুই মেয়ে তুম্পা আক্তার ও রিনা আক্তারকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ ইমানুর পুত্র আহমদ হোছনের নেতৃত্বে তার ভাই বাদশা, নুরুল আলম, ইমানুর মেয়ে নুর আয়েশা, মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোঃ কামাল ও তার স্ত্রীসহ আরো কয়েকজন দুর্বৃত্ত লাঠি, দা, লোহার রড, কিরিচ নিয়ে সিরাজুল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও মেয়দের উপর হামলায় চালায়।এ সময় তারা বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।সংগঠিত এ ঘটনায় সিরাজুল হকের স্ত্রী মনিরা খাতুন বাদী হয়ে গত ১০ আগষ্ট কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। (যার নং ৬৭০৭), এ মামলায় ১নং আসামী আহমদ হোসেনকে গত শনিবার রাত ৩ দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।গ্রেফতারের দুইদিন পর আহমদ হোসেনের ভাই কামাল, নুরুল আলম ও ভাগিনা রকিম আলীর পুত্র সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে  বাদীনি মনিরা খাতুনের মানষিক ভারসাম্যহীন ছেলে ফয়সালকে তার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ধরে আনে।পরে তাকে ঘোনা পাড়া এলাকায় নিয়ে আসে তারা।

অভিযুক্তদের যোগসাজসে ফয়সালকে ১শ পিস ইয়াবা দিয়ে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল হক।মনিরা খাতুন জানায়,এদিন মামলার বিষয় নিয়ে থানায় ছিলেন তিনি।পরে খবর পায় তার ছেলে ফয়সালকে ধরে নিয়ে মেম্বারের যোগসাজসে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার জন্য ঈদগাঁও পুলিশকে খবর দেয় মেম্বার সিরাজুল হক।খবর পেয়ে তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই লিটনুর রহমান জয় সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়।তখন তিনি বিষয়টি তাৎক্ষনিক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোবারককে অবহিত এবং আরো একটি অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় মেম্বারকে কল করে ফয়সালকে ছেড়ে দিতে বলে।মেম্বার তাড়াহুড়া করে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।বর্তমানে ইয়াবা গুলো স্থানীয় চৌকিদার আবদুর রশিদের হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

অপর একটি সূত্রে জানা যায় ইয়াবাগুলো ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের এস আই দেবাশীষ সরকার,এ এসআই লিটনুর রহমান জয় ভারুয়াখালী পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে নিয়ে আসে।এস আই দেবাশীষ সরকার ইয়াবা নিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ফয়সালকে ছেড়ে দেওয়ার সময় কামাল,বাদশা, সাইফুলরা হুংকার দেয় তোর মা’কে মামলা তুলে নিতে বলবি!  না হয় জবাই করে মেরে ফেলব, লাশ গুম করবসহ হরেক রকম হুমকি দেয় বলে জানায় ফয়সাল।এমন হুমকিতে তার মা’সহ আত্বীয় স্বজনরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে।মামলা পরিচালনায় ব্যঘাত সৃষ্টি করতে এ রকম অপহরন ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামী পক্ষের লোজজন।তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন,আসামীরা যে কোন মুহুর্তে ফের হামলাসহ বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে ইতিমধ্যে আমার ছেলেকে অপহরন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া জানায়,খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়।পরক্ষনে ঘটনাটি মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাদীনির পুত্রকে তুলে এনে ইয়াবা দিয়ে পুলিশকে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে খবর আসে এবং অপহৃত ছেলেকে ছেড়ে দিলে ফোর্স চলে আসে।

ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় লোকজন মারফত একটা ছেলেকে ইয়াবাসহ আটক করেছে খবর পেয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছিল বলে জানায়।অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।